মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নে (ইউপি) নির্বাচনোত্তর সহিংসতায় ছাত্রলীগের আহত নেতা খলিলুর রহমান মারা গেছেন। গতকাল শুক্রবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। চোখে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রায় তিন মাস তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। খলিলুর রহমান উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর খবরে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, তৃতীয় ধাপে শ্রীপুর সদর ইউনিয়নে নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় খলিলুর রহমান (২৭) চোখে টেঁটাবিদ্ধ হন। গত ২৩ এপ্রিল ওই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে সদস্যপদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মদনপুর গ্রামের আওয়ামী লীগের স্থানীয় দুই নেতা রজব আলী মোল্লা ও নাজির আহমেদ মজুমদার। নির্বাচনে রজব আলী মোল্লা বিজয়ী হন। পরদিন বেলা ১১টার দিকে নির্বাচনে জয়-পরাজয় নিয়ে দুই পক্ষের সমর্থকদের মাঝে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ওই সংঘর্ষে দুই পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন। এ ছাড়া ১০টি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ৪০টি ফাঁকা গুলি ও টিয়ার শেল ছোড়ে। ঘটনাস্থল থেকে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজনকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আর গুরুতর আহত খলিলুর রহমানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে খলিল মারা যান। নির্বাচনোত্তর ওই সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় ইউপি সদস্য রজব আলী মোল্লাকে আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন। মৃত্যুর খবরে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিলেও পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে খলিল মারা যান। নির্বাচনোত্তর ওই সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় ইউপি সদস্য রজব আলী মোল্লাকে আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন। মৃত্যুর খবরে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিলেও পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।



Post a Comment